Wednesday 29 July 2020

অজ্ঞাত / পর্ব ১






সব শূন্যতাই তো অজ্ঞাত । সেখানে কি আছে জানতে পারলে তো আর সেই জায়গাটা শূন্য থাকে না ! 
                      ----  বিশ্বজিৎ ভৌমিক 

তখন কলকাতা বইমেলা ২০১৯ চলছে । অপরিচিত হাতে পেলাম । চার ফর্মার উপন্যাস গো গ্রাসে গিলে খেলেও ততদিনে বইমেলা শেষ । 

এরপর অজ্ঞাত লিখবো বলে মনস্থির করি এবং মনের কথাটা প্রথম জানাই যাকে তিনি হেমন্ত সরখেল । বলেছিলাম , হেমন্ত দা অপরিচিত র প্রতিদ্বন্ধি শুরু করবো ।  নিজের অপরিচিত সামলে রেখো । তোমার কায়দায় তোমাকেই ল্যাং মারবো । যদিও জানতাম এ সব ক্ষমতা অজ্ঞাত র নেই । 

তবু কাজ শুরু করলাম । 

শাল্যদানী রূপম ঠাকুরের ডাকে লেখাটি ধারাবাহিক প্রকাশ পাচ্ছে । হয়ত আগামীতে কোথাও না কোথাও থেকে বই হয়েও আসবে । কতটা দাগ কাটছে এই লেখা বা কতটা দাগ কাটবে এই লেখা , অজ্ঞাত র নায়ক সন্দীপন দত্ত অমরত্ব পাবে নাকি সর্বহারা হবে ; তা জানি না , তবে হেমন্ত সরখেলের সেদিনের কথা আমার জীবনে অমর হয়ে থাকবে । বলেছিলো , " দুঃসাহস করছিস । তবে করছিস যখন করে ফ্যাল আর হ্যাঁ , একদিন অপরিচিত অজ্ঞাত হবেই দেখিস " । 

আর আজ আমি বলছি যার অনুকরণে এই উপন্যাস , সেই অপরিচিত আরও পরিচিত হবে , হেমন্ত দা ; বড়ং অজ্ঞাত অজ্ঞাতই থাকবে সবার জীবনে ।






১।।
ভোর পাঁচটা । সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠে এলো সন্দীপন । ক্লান্তি আজ শরীরকে গ্রাস করেছে তার । তবু নূতন উৎসাহে সে ক্লান্তি স্বস্থির নিঃশ্বাস ফেলছে , কিছুটা হলেও । কাঁধের ওপর যা ঝুলছে ; তা নয় নয় করে কিলো বিশেক হবেই । এত বাঁধা বিপত্তি সকালের এই ঊষা লগ্ন প্রকট করেছে ছেলেটির এই সকাল জুড়ে , তবু মনের কোনো এক কোণায় প্রার্থনাচারিত হয়ে ধ্বনিত হচ্ছে মনের এক কামনা ,

“ ক্লান্তি আমার ক্ষমা করো প্রভু 
পথে যদি পিছিয়ে পড়ি কভু” । 

নব আনন্দে ; বাঙলা ছেড়ে সুদুরে যাত্রা শুরু হয়েছিল গত পরশু ; সতেরই জানুয়ারি । রাজধানিতে বসে সন্দীপনের মনে পড়ে যাচ্ছিল বাড়ির দিনগুলো ; বন্ধু আর তাদের সাথে দেবা দার দোকানে কাটানো সন্ধ্যেগুলো ; যেগুলোতে ছিল নিকোটিনের আসক্তি । এখানে অবশ্য সেসব কিছুই নেই ; শুধুই ছুটে চলা আর ব্যাস্ততা । সে জানে সে আজ সবকিছু ছেড়ে চলেছে বহুদুরে ; বহুদুরে চলেছে তার বাবার শেষ স্মৃতিগুলো ফেলে রেখে ; আর ফেলে রেখে তার পুরনো চাকরি ; পুরাতন স্বপ্ন দেখা সেই অধ্যায়গুলো । 

বদলই জীবনের মূল – সেকথা সন্দীপন বেশ ভালভাবেই জানতো আর জানতো বলেই তার বন্ধু সমরেসের মতো সেও এস এস সি পরীক্ষার স্বপ্ন দেখত । দীর্ঘ আঠ বছর ধরে এই নিয়েই তো এতো সংগ্রাম । তবে দুজনেই বারবার একই জায়গায় গিয়ে আটকে পড়ছিল ; সেটি হল মেন্স পরীক্ষা । একদিন তো এই নিয়ে সমরেস বেশ আক্ষেপ করেই বলেছিল ,

--- দেখ বন্ধু , পরীক্ষার প্রথম পর্যায় পার করা এখন আমাদের কাছে জল ভাত হয়ে গেছে । কিন্তু দ্বিতীয় ধাপ , খুবই কঠিন হয়ে উঠছে । এই গতিতে পরীক্ষা পাস করলে আমাদের আর চাকরি পেতে হবে না । 

এরই মধ্যে একদিন সুখবর ধেয়ে এলো তাদের কাছে । মিষ্টির প্যাকেট হাতে সন্দীপনকে আসতে দেখে সমরেসের মধ্যে আনন্দের মাত্রাটা আরও তীব্রতর হলো । বন্ধুকে বুকে টেনে নিয়ে সে বলে উঠলো , 

--- অবশেষে একটা হেল্লা হলো তাহলে । শুভেচ্ছা আজ দুজনের জন্য । আর তার থেকেও বড় খবর দুজনের কর্মক্ষেত্র একই , ব্যাঙ্ক । একসাথে স্কুল ও কলেজ জীবন শেষ করে কর্মক্ষেত্র একই হবে এর থেকে আনন্দের আর কিছু হতে পারে না । 

কিন্তু পরক্ষণেই উল্টো দিক থেকে যে উত্তর ধেয়ে এলো তা সত্যিই সমরেসের কাছে অপ্রত্যাশিত ছিল । সন্দীপন বন্ধুর বুক থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে বলে উঠলো ,

--- আমি ব্যাঙ্ক জয়েন করছি না । আমি নিউ ইন্ডিয়া জয়েন করবো । ওর মাইনে বেশি । 

বন্ধুর এই সিদ্ধান্ত অবশ্য সমরেশ সেদিন মোটেও মেনে নিতে পারে নি । তাই তো বেশ চিৎকার করেই সন্দীপনকে সে বলে উঠলো , 

--- কী পাগলামো এসব ! ভুলিস না আমাদের লক্ষ এস এস সি আর সেটা আজ নয় কাল আমরা পাবোই । তখন ৬ লক্ষ টাকা চাকরি ছাড়তে দিবি তুই ! মাথা খারাপ হয়েছে তোর ! 

সমরেসের কথায় মুচকি হেসে সন্দীপন সেদিন বলেছিল , 

--- ভবিষ্যতের কথা ভবিষ্যতে দেখবো । আগে এস এস সি পাস করি তো , তারপর ....

বন্ধুর কথায় রীতিমতো হতাশ হয়ে সমরেশ বলে , 

---- তোর অবশ্য বাবার অনেক টাকা কিন্তু আমার সেসব নেই । তুই বড় লোক মানুষ । যা তাহলে তোর পথেই এগো । তবে একদিন আমার কথাগুলো মনে পড়বে । সেদিন বিচার করে দেখিস , এই বন্ধুটা তোর ক্ষতি চায় নি রে । 

সন্দীপন অবশ্য বুঝতে পারে নি সে যুগে রেলের সামান্য পদে চাকুরিরত এক সাধারণ কর্মচারীর কাছে সত্যিই কি অনেক টাকা আসতে পারে । আর থাকলেও তার বাবা তাকে সেসব দেবে কেন তাও চাকরি ছাড়ার জন্য ! সে শুধু এই ভেবে চাকরিটা করতে চায় যে , এই চাকরিতে বিদেশ যাওয়ার সুযোগ আছে আর ভারতে শহরগুলো ছাড়া এর পোস্টিং হয় না । অবশ্য সমরেশ তার সিদ্ধান্তের সমর্থন না করলেও অনেকেই তার সিদ্ধান্তের পাশে এসে দাঁড়ায় । 

এসব ভাবতে ভাবতেই রাত নেমে আসে । রাজধানীর বাতিগুলো নিভে আসে ধীরে ধীরে নৈশ ভোজনের পর । বাইরে চেনা প্রকৃতি পিছিয়ে চলেছে আর ভিতরে নতুনের সন্ধানে এগিয়ে চলেছে সে । আজ বাবার কথা ভীষণ মনে পড়ছে তার , মাঝরাতে । বাবা থাকলে তাকে নিশ্চই একলা ছাড়তো না । অবশ্য এসব কি বাবা বুঝতো কিছু , নিজেই নিজের মনে বলে চলেছে সন্দীপন । এলজাইমারের প্রভাবে বর্তমানটা ভুলেই গেছিলো । ছেলে বউ কাউকেই চিনতে পারতো না শেষদিকে । তারপর একদিন চলে গেল । সেদিন আবার বিজয়া । কত ঝামেলা করে বাবার নিথর শরীরটা নিয়ে এসেছিল ওরা সেদিন । সন্দীপন চোখ বন্ধ করে সে সব দেখতে পাচ্ছে আজ । কষ্ট , যন্ত্রনা , নিজের আত্মীয় , প্রতিবেশি --- মানুষ চিনেছিলো সে সেদিন । এসব ভাবতে ভাবতেই চোখের কোন ভিজে যায় আর ওদিকে ভোরের কুয়াশায় ভিজে যায় প্রকৃতি ; আজ দুটোই সমার্থক । নীচে ঝুকে প্রশ্ন করে সে একবার,

---- কাহা পৌছা ? 

দুবার জিজ্ঞাসা করলে উত্তর আসে ,

--- সাত ঘন্টা লেট হ্যায় গাড়ি । দিল্লি পৌঁছতে তিন হো জায়গা । 

উত্তরটা শোনা মাত্রই তিন তলা থেকে নিচে নেমে ছুটে যায় সে বাইরের দিকে । তারপর বাইরের দরজাটা একঝলক খুলে যা দেখলো সে তা তার কল্পনার অতীত । বাইরের সব রং গ্রাস করেছে সাদা । দূর অবধি এই ঘন সাদা ছাড়া কিছুই নজরে আসে না । হতাশ হয়ে দরজাটা বন্ধ করে দেয় সন্দীপন , তারপর নিজেই নিজেকে স্বান্তনা দিতে মনে মনেই বলে ওঠে ; এই ঘন কুয়াশায় লেট হওয়াটা অস্বাভাবিক নয় । তবে রাজধানী যখন ঠিক কিছুটা লেট মেক আপ করে নেবে । 

সময় এগিয়ে চলেছে যত , ততই টেনশন বেড়ে চলেছে । প্রতি ঘন্টার হাত ধরে লেটটাও কম বেশির অদ্ভুত খেলা খেলছে । এরই মধ্যে বিপদ হলো টুনডলা স্টেশনে । গাড়িটি ওখানে প্রায় আধ ঘন্টা দাঁড়িয়ে যখন , তখন হঠাৎ মোবাইল ফোনটা বেজে উঠলো সন্দীপনের । মায়ের ফোন , আর তাই জলদি ফোনটা ধরতে হলো তাকে , 

---- হ্যালো মা । 

---- কত দুর পৌছালি বাবা । 

----মা , ট্রেন লেট থাকায় এখনও অনেকটা পথ বাকি । বুঝতেই পারছো .... সকালের কুয়াশা ... হ্যালো ... ট্রেন .... উফ কি জ্বালা রে ভাই .... কিছুই শোনা যায় না । 

এদিকে যখন মায়ের সাথে ছেলেটি ফোনে কথা বলতে ব্যস্ত , ঠিক তখনই বগির মধ্যে একটা প্রবল চিৎকার ও শীঘ্রই একটা ঝামেলা সৃষ্টি হয়ে গেল । কথাকাটাকাটির মধ্যে বেশ বিরক্ত হয়ে সন্দীপন ফোনটি কেটে দিলো । মা অবশ্য এক দুবার চেষ্টা করলো ফোন করার , কিন্তু বারবার ফোন কেটে দেওয়ায় সে সকল চেষ্টা তার ব্যর্থ হয়ে গেল । এক বুক চিন্তা নিয়ে মা ঘরের কাজ করতে চলে গেল । 

দূর থেকে এগিয়ে আসা , আস্তে থেকে ধীরে ধীরে জোর হতে থাকা আওয়াজে কিছুটা হলেও প্রাণ ফিরে এসেছে । কত ঘন্টা দেরিতে তারা এসেছে এসব হিসাবের সময় আজ কারুর নেই , সন্দীপনেরও একই হাল । এখন তার মাথায় একটাই প্রশ্ন ভোপাল যাওয়ার কোন গাড়ি আছে এখন । অবশ্য সমস্ত রিসার্ভেশন সে করে এনেছিল নিজের সঙ্গে , কিন্তু ভাগ্য .... ঘড়িতে এখন বিকেল ৬ টা আর যে ট্রেন তাকে ভোপাল নিয়ে যেত সেটি বিকেল ৪টের সময় নতুন দিল্লি ছেড়ে চলে গেছে । ট্রেনের মধ্যে বসে বসেই ট্রাভেল এজেন্টকে ফোন করেছিল সে তবে লাভ হয়নি , কারন দোকান বন্ধ । 

ভিড় থেকে একটু সরে এসে একটা ফাঁকা জায়গায় দাঁড়ালো ছেলেটি । পেটিএম খুলে কিছু ট্রেনের রিসার্ভেশন খুঁজে দেখলো সে । শেষমেষ দিল্লি নিজামউদ্দিন ব্যাঙ্গালোর রাজধানী এক্সপ্রেসে একটা সিট বুক হওয়াতে কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো সে । ট্রেন ছাড়বে রাত ১১: ৩০ । 

ভিড় কাটিয়ে প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে বাইরে এসে দাড়ালো সন্দীপন । পকেট থেকে মোবাইলটা বের করে মা কে ফোন লাগালো সে এবার । ট্রেনে ঝামেলার কারনে মা কে আর ফোন করার সুযোগ পায়নি সে সেরকম । এতক্ষনে কিছুটা হলেও ফাঁকা হওয়া গেছে । ফোনটা দুবার তিনবার বেজে উঠতেই ওপাশ থেকে ভেসে এলো সেই চেনা আওয়াজ ,

--- হ্যাঁ বাবু বল । কোথায় আছিস এখন ? সারাদিনে এই মনে পড়লো বুঝি মা কে তোর ? 

ছেলে চুপচাপ মায়ের কথা শুনে যাচ্ছিল । এবার সিগারেটের কাউন্টারটা শেষ করে বলে উঠলো সে , 

---- মা , মা , এই মাত্র দিল্লী পৌছালাম । সকালে কুয়াশার জন্য ট্রেন দেরি করতে শুরু করে আর দেখতেই পাচ্ছ এতক্ষনে দিল্লি এসে পৌঁছেছে সে আজ । হিসাব মত প্রায় ৬ কি ৭ ঘন্টা লেট । যাই হোক , আমি ব্যাঙ্গালোর রাজধানীতে সিট পেয়েছি । নিজামউদ্দিন থেকে ট্রেন রাতে । কাল ভোর বেলায় ভোপাল নামিয়ে দেবে । 

---- দুগ্গা দুগ্গা । সাবধানে যেও আর এই বুড়িটার কথা মনে করে ফোন করে দিও । তুমি ওদিকে ফুর্তি করছো আর এদিকে আমি যে কত টেনশনে থাকি বুঝবে না তো । সারাদিনে দুপুর বেলা একটা ফোন করেছি , তাও উনি নয় , আমিই করেছি । লাড সাহেবের সময় নেই কথা বলার । পেছন থেকে এত ক্যাঙর ম্যাঙর হচ্ছে যে কোন কিছু শোনা গেলে হয় । চলন্ত ট্রেনেই পার্টি শুরু হয়ে গেছে যেন ।

সন্দীপন মায়ের কথা শুনেছিলো আর সমানে মুচকি মুচকি হেসে চলেছিল আর তারপর মায়ের কথাগুলো শেষ হতে না হতেই ঝাঁপিয়ে পড়ে উত্তর দিলো সে , 


---- পার্টি নয় মা । ঝামেলা হচ্ছিল আমাদের কেবিনে । আসলে কি জানোতো আজ ট্রেন লেট করেছে সে ইস্যু আলাদা কিন্তু রাজধানীর খাবার , এসি , বিদ্যুৎ -- সব পরিষেবা এত জঘন্য ছিল যে যাত্রীদের আওয়াজ তোলাটা সত্যিই প্রয়োজন ছিল। রাজধানী , শতাব্দীর মতো ট্রেনে এত এত টাকা ভাড়া দিয়েও মানুষ যাতায়াত করে শুধুমাত্র পরিষেবার জন্য আর যদি আই আর সি টি সি থেকে সেই পরিষেবা ঠিক মতো না পাওয়া যায় তাহলে আন্দোলন তো হবেই । এত দূরের গাড়ি চলছে অথচ ব্রেক ভ্যান জেনারেটর নেই ট্রেনে । স্টেশনে দাঁড়ালেই চার্জ ও অন্যান্য ইলেকট্রিক্যাল বস্তু কাজ করা বন্ধ করে দিচ্ছিল । খাবারের কোয়ালিটি ভালো তো ছিলই না , উপরন্তু সেগুলো ঠান্ডা পরিবেশন করা হচ্ছিল । এসব কতক্ষন সহ্য করা যায় বলো । যাই হোক , এখন ফোন রাখছি আমি । আমাকে আবার নিজামউদ্দিন বেরোতে হবে । তুমি সাবধানে থেকো মা । 

এই বলে সন্দীপন ফোনটা কেটে দিয়ে একটা সিগারেট ধরালো এবার । ওপাশে মা দুগ্গা দুগ্গা বলতে বলতে ব্যস্ত হয়ে পড়লো নিজের কাজে ।

প্রায় কুড়ি কেজি ভার দুকাঁধে ঝুলছে । ভোরে আলো আবছা হয়ে ফুটেছে এখন । লোকজনের ভিড় আসেপাশে বেশ উল্লেখযোগ্য । ব্যাঙ্গালোর রাজধানী থেকে ভোপাল স্টেশনে নামা ছেলেটি একপা একপা করে এগিয়ে চললো ওভার ব্রিজের দিকে । সব কিছু নতুন হলেও এক আলাদা আনন্দ তার গোটা চোখ মুখ জুড়ে ঝরে পড়ছে । সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠে এসে একটা ফাঁকা জায়গা দেখে দাঁড়ালো সে । ডিভিশনাল একাউন্টেন্ট পদে এস এস সি পাস করা সন্দীপনের পোস্টিং এই মধ্য প্রদেশে । সেই জন্যই তার এই আগমন । ইচ্ছে আছে আজই এজি ভোপালে গিয়ে জয়েনিং প্রসিডিওরগুলো শেষ করে নেওয়ার । তবে এই মুহূর্তে সে চিন্তা মোটেও তার কাছে মুখ্য নয় । এই মুহূর্তে চিন্তা তার এক জায়গায় এসেই আটকা পড়ছে বারবার । তবে মুখে সে সব কিছুই প্রকাশ হতে না দিয়েই এক মুখ হাসি নিয়ে নিজেই নিজেকে উৎসাহ দিচ্ছে সে বারবার 

---- গুড মর্নিং ভোপাল ।